বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সিলেটের আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নয় অঞ্চলের নয়জন উপ-পরিচালক এমপিওভুক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদেরই একজন সিলেটের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ। তার মূল পদ সরকারি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি প্রায় আট বছর যাবৎ ডিডি পদে রয়েছেন। তার বিরূদ্ধে এমপিওভুক্তিতে দুর্নীতির বেশ কিছু আভিযোগও রয়েছে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ই্নস্টিটিউটে শিক্ষা প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের মধ্যে মোটর সাইকেল ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটের ডিডিকে গাড়ি দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য। কিন্তু তিনি তা নিজ কাজে ব্যবহার করেন। আমি নিজেও সিলেটে গেলে তাকে পাইনা। অথচ তার উচিত আমার কাছে আসা, আমার পরামর্শ নেয়া।’
অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানকে লক্ষ্য করে মন্ত্রী বলেন, “ডিজি মহোদয় উপস্থিত আছেন, আমি আপনাকে বলছি, সিলেটের ডিডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।” এ সময় শিক্ষামন্ত্রী উদাহরণ টেনে আরো বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমি চট্টগ্রাম গেলাম, সেখানে দেখি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য শিক্ষা কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক আমার পেছন পেছন থাকেন। আমি যেখানে যাই তারাও আমার পেছন নেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রী বলে সবসময় আমার সাথে থাকতে হবে এমন কোন কেথা নেই। আপনারা কোন কাজের জন্য পরামর্শ চাইলে আমার সাথে দেখা করুন এবং নিজেদের রুটিন কাজের প্রতি মনোযোগী হোন। কারো কাজে গাফিলতি কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবেনা। কেউ কাজে গাফিলতি করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
কর্মকর্তাদের মাঝে এক হাজার ৩৪টি ল্যাপটপ এবং ৬৪০টি মটর সাইকেল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে কাজ সম্পন্ন করার জন্য কর্মকর্তাদের মাঝে এ উপকরণগুলো বিতরণ করা হল। এগুলো কাজে লাগাতে হবে। তিনি শিক্ষা তথা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সবাইকে সততার সাথে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। তিনি বলেন, কোন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবেনা। দুর্নীতির ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি। দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে এ বই সাহায্য করবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাঅধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী।